দেওবন্দ আন্দোলন
ইতিহাস জাতির পরিচায়ক। যে জাতি তাদের ইতিহাস ভুলে যায় সে জাতি কখনো মঞ্জিলে মাকসুদে পৌঁছতে পারে না। ইতিহাস জানা জাতি ঠিকই একদিন জেগে ওঠে আপন বলয়ে। হকের মশাল জ্বালায় অন্ধকার জনপদে। ইসলামিয়া কুতুবখানার নতুন সংযোজন, একটুকরো তুহফা “ভারতবর্ষে মুসলমানদের ইতিহাস দেওবন্দ আন্দোলন ঐতিহ্য ও অবদান”। আর দারুল উলুম দেওবন্দ একটি চেতনা। অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়া একটি বিপ্লবের কেন্দ্রীয় কার্যালয়। একটি নীরব আন্দোলনের ঐতিহাসিক সূতিকাগার। মূলত দারুল উলুম দেওবন্দ নিছক একটি প্রতিষ্ঠানের নাম নয়; বরং আবশ্যিক দায়িত্ব পালনের নিরলস চেষ্টার গুরুত্বপূর্ণ একটি বটবৃক্ষ। দারুল উলুম দেওবন্দ—পিছনে অশ্বত্থ গাছের মতো দাঁড়িয়ে থাকে অধ্যায়ের পর অধ্যায়। ইতিহাসের নিখাদ ত্যাগ ও ভালোবাসার সৌধ। এই গতি আর রুদ্ধ হয় না। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তেই থাকে এর প্রাসঙ্গিকতা। এবং সময়ের দাবি পূরণে ছাপ রাখে সাহসিকতার। সম্ভাবনা ও দৃঢ়তার। ১৮৬৬ ঈসায়ী সালের ৩০শে মে মোতাবেক ১২৮৩ হিজরির ১৫ই মুহাররম রোজ বুধবার ভারতের উত্তর প্রদেশস্থ সাহারানপুর জেলায় দেওবন্দ নামক গ্রামের মহল্লায়ে দেওয়ানে সাত্তা মসজিদের বারান্দায় ডালিম গাছের নিচে গড়ে ওঠা একটি দারুল উলুম কি শুধুই একটি প্রতিষ্ঠান ছিল? কিংবা ছিল কি কেবল ধর্মীয় জ্ঞানের দীক্ষা নেওয়ার একটি দ্বীনী শিক্ষালয়? আর কে বা কার চেষ্টা ও পৃষ্ঠপোষকতায় তৈরি হয়েছিল এমন একটি নিষ্কলুষ দ্বীনি প্রতিষ্ঠান? এবং কার এবং কোন চিন্তা ও চেতনার জোরালো ভূমিকা ছিল এটি অস্তিত্বে আসার? এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের একটু থামতে হবে! হাঁটতে হবে কিছুক্ষণ একটু পিছনের দিকে। ইতিহাসের ধুলোপড়া ধুসর খাতা ঝেড়েঝুড়ে পড়তে হবে আমাদের অতীতের পাতা। ইতিহাসের কিছু জীবন্ত অধ্যায়।
দেওবন্দ আন্দোলন
ইতিহাস জাতির পরিচায়ক। যে জাতি তাদের ইতিহাস ভুলে যায় সে জাতি কখনো মঞ্জিলে মাকসুদে পৌঁছতে পারে না। ইতিহাস জানা জাতি ঠিকই একদিন জেগে ওঠে আপন বলয়ে। হকের মশাল জ্বালায় অন্ধকার জনপদে। ইসলামিয়া কুতুবখানার নতুন সংযোজন, একটুকরো তুহফা “ভারতবর্ষে মুসলমানদের ইতিহাস দেওবন্দ আন্দোলন ঐতিহ্য ও অবদান”। আর দারুল উলুম দেওবন্দ একটি চেতনা। অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়া একটি বিপ্লবের কেন্দ্রীয় কার্যালয়। একটি নীরব আন্দোলনের ঐতিহাসিক সূতিকাগার। মূলত দারুল উলুম দেওবন্দ নিছক একটি প্রতিষ্ঠানের নাম নয়; বরং আবশ্যিক দায়িত্ব পালনের নিরলস চেষ্টার গুরুত্বপূর্ণ একটি বটবৃক্ষ। দারুল উলুম দেওবন্দ—পিছনে অশ্বত্থ গাছের মতো দাঁড়িয়ে থাকে অধ্যায়ের পর অধ্যায়। ইতিহাসের নিখাদ ত্যাগ ও ভালোবাসার সৌধ। এই গতি আর রুদ্ধ হয় না। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তেই থাকে এর প্রাসঙ্গিকতা। এবং সময়ের দাবি পূরণে ছাপ রাখে সাহসিকতার। সম্ভাবনা ও দৃঢ়তার। ১৮৬৬ ঈসায়ী সালের ৩০শে মে মোতাবেক ১২৮৩ হিজরির ১৫ই মুহাররম রোজ বুধবার ভারতের উত্তর প্রদেশস্থ সাহারানপুর জেলায় দেওবন্দ নামক গ্রামের মহল্লায়ে দেওয়ানে সাত্তা মসজিদের বারান্দায় ডালিম গাছের নিচে গড়ে ওঠা একটি দারুল উলুম কি শুধুই একটি প্রতিষ্ঠান ছিল? কিংবা ছিল কি কেবল ধর্মীয় জ্ঞানের দীক্ষা নেওয়ার একটি দ্বীনী শিক্ষালয়? আর কে বা কার চেষ্টা ও পৃষ্ঠপোষকতায় তৈরি হয়েছিল এমন একটি নিষ্কলুষ দ্বীনি প্রতিষ্ঠান? এবং কার এবং কোন চিন্তা ও চেতনার জোরালো ভূমিকা ছিল এটি অস্তিত্বে আসার? এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের একটু থামতে হবে! হাঁটতে হবে কিছুক্ষণ একটু পিছনের দিকে। ইতিহাসের ধুলোপড়া ধুসর খাতা ঝেড়েঝুড়ে পড়তে হবে আমাদের অতীতের পাতা। ইতিহাসের কিছু জীবন্ত অধ্যায়।
Reviews
There are no reviews yet.