মধ্যপ্রাচ্যের মুসলমানগণ কুরআন-হাদীসের আলোকে ইসলামের অনুসরণ করত। কিন্তু উপমহাদেশসহ এশিয়া মাইনর, আজারবাইজান, রাশিয়া, ইরান ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলগুলোতে ইসলামের অভ্যুদয় ঘটার সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ের চর্চাও ব্যাপকভাবে বিস্তৃতি লাভ করে। এক পর্যায়ে লোকজনে ধর্মীয় বিশ্বাস ও তার বিধিবিধানকে যুক্তি ও দর্শনের নিরিখে তুলনা করতে থাকে। ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে মুক্তচিন্তার চর্চার নামে গ্রিক-দর্শনের অন্ধ অনুকরণ। ধর্মীয় বিশ্বাসের বিষয়াবলির ক্ষেত্রে দেখা দেয় চরম উদাসীনতা। এই করুণ পরিস্থিতিতে প্রয়োজনের তাগিদে মুসলিম চিন্তাবিদ ও দার্শনিকগণ অনেকটা বাধ্য হয়েই গোড়াপত্তন করেন ইলমুল মানতিক তথা তর্কশাস্ত্রের। সুস্পষ্ট যুক্তির সাহায্যে এবং সূক্ষ্ম চিন্তাধারার আলোকে অকাট্য প্রমাণ উপস্থাপনে কালক্রমে ইলমুল মানতিক অপ্রতিরোধ্য এক শাস্ত্রে আত্ম প্রকাশ করে। যুগে যুগে অনেক মানতিকবিদ যুক্তি-তর্কে রেখেছেন কালজয়ী অবদান। হিজরী অষ্টম শতাব্দীর দক্ষ ও বিজ্ঞ আলেম আল্লামা সা’দুদ্দীন তাফতাযানী (র.) রচিত তাহযীবুল মানতিকের বিশ্ব নন্দিত ব্যাখ্যাগ্রন্থ শরহে তাহযীব যুগে যুগে মানতিকবিদদের জন্যে আলোক বর্তিকা হয়ে আছে। দীর্ঘদিন যাবৎ এটি দরসে নেজামীর সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের কল্যাণে আমাদের সংযোজন-
১. কিতাবের শুরুতে মানতিক শাস্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ মুকাদ্দামা সংযোজন।
২. লেখক ও ভাষ্যকারের পৃথক পৃথক জীবনী সংযোজন।
৩. কম্পিউটারে কম্পোজকৃত সূচিপত্র সংযোজন।
Reviews
There are no reviews yet.