হিমালয়ান পিংক সল্ট
হিমালয়ান সল্ট বা গোলাপী লবণের কথা অনেকেই শুনে থাকবেন। এটি ভারত থেকে চীণের যে প্রসারিত পর্বতশ্রেণী রয়েছে তার মধ্যে পাওয়া যায়।।
এর মধ্যে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত “হিমালায় পর্বত” ও অন্তভুক্ত আছে। হিমালয় পর্বতশ্রেণী থেকে এই লবণের দেখা পাওয়া যায় বলে একে হিমালয়ান সল্ট বলা হয়। এই লবণটি গোলাপী রং-এর হয়ে থাকে। এতে গোলাপী,সাদা এবং লাল রং এর খনিজ উপাদান বিদ্যমান থাকায় এর রং গোলাপী দেখায়। এর পুষ্টিগুণ সাধারণ লবণের থেকে অনেক বেশী।
সাধারণ ব্যবহার ছাড়াও এই লবণের কিছু বিস্ময়কর ব্যবহার রয়েছে। চলুন, জেনে নিই হিমালয়ান লবণের উপকারিতা
১। নিম্মমানের সোডিয়ামের পরিমাণঃ
যদিও হিমালয় সল্ট আর সাধারণ লবণ একই উপাদান দিয়ে তৈরি তবুও হিমালয়ের ক্রিস্টাল গঠন সাধারণ লবণের তুলনায় বড়।
এর মানে হল এতে ১/৪ টেবিল চামচ পরিমাণে কম সোডিয়াম থাকে সাধারণ লবণের তুলনায়।
২। উচ্চ পরিমাণে খনিজঃ
হিমালয়ান সল্ট ৮০+ খনিজ নিয়ে গঠিত যা পৃথিবীর মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায়। এতে ৮৫% থাকে সোডিয়াম ক্লোরাইড আর ১৪% থাকে সালফেট, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, খাবার সোডা, বরিক অ্যাসিডের সল্ট, স্ট্রনশিয়াম এবং ফ্লোরাইড মত খনিজ পদার্থ। এই সকল খনিজ়ের নিজস্ব কিছু গুণ আছে যা হিমালয়ান সল্টের মধ্যে ও বিদ্যমান। খনিজের গুণাবলী-
= হাড় শক্তিশালীকরণ
= নিম্ন রক্তচাপ দূরীয়করণ
= মাইগ্রেইনের ব্যথা দূরীকরণ
= হজমশক্তী বাড়ানো
= পেশী ব্যাথারোধ
= কোষের ভিতর এবং বাইরের পানির ভারসাম্য বজায় রাখে
= শরীরে পানির পরিমাণ ঠিক রাখে
= একটি ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য তৈরি
= ওজন হ্রাসে সাহায্য করে।
যেসব কাজে ব্যবহার করতে পারেন:
১। দৈনন্দিন রান্নার কাজে
২। প্রতিদিনের রান্নায় সাদা লবণের পরিবর্তে পিংক সল্ট ব্যবহার করুন। তবে সাদা লবণের চেয়ে পরিমাণে কিছুটা কম ব্যবহার করুন।
৩। খাবারের স্বাদ বৃদ্ধিকরণ
৪। বিভিন্ন খাবারের উপর অল্প পরিমাণে এই লবণ ছিটিঁয়ে দিন এবং দেখুন খাবারের স্বাদের কি আমূল পরিবর্তন আসে।
৫। হিমালয়ান লবণ ফ্রুট সালাদ,সুশী, ভেজিটেবল সালাদ, বিভিন্ন খাবারে ব্যবহার করা যায়।
৬। লেবুর সরবত বা তেতুঁলের সরবতের মধ্যে ব্যবহার করুন এই লবন, এটি আপনার খাবার মজাদার করার সাথে সাথে খাবারকে করবে স্বাস্থ্যকর।
৭। স্নানে শুনে অবাক হলেও স্নানেও এই লবণ ব্যবহার হয়!
৮। বাথটাব বা বালতির পানিতে এক টুকরো হিমালয়ান লবণের চাক ছেড়ে দিন। এটি মাংস পেশীকে রিল্যাক্স করে। প্রাকৃতিকভাবে এতে রয়েছে পুষ্টি উপাদান যা ত্বকের চামড়া কুঁচকানো দূর করার সাথে সাথে মন ও শরীরকে রাখে সজীব আর প্রাণবন্ত।
৯। মাইগ্রেইনের ব্যাথা দূর করার জন্য ১ কাপ পানিতে ২ চা চামচ হিমালয়ান লবন, ২ চা চামচ লেবুর রস ও সামান্য কুড়ানো লেবুর খোসা একসাথে মিশিয়ে পান করুন এবং দেখুন কিভাবে এক নিমিষে দূর হয়ে যায় আপনার মাইগ্রেইনের ব্যাথা।
আমারই দিচ্ছি ১০০% অরিজিনাল হিমালয় পিংক সল্ট ।যাতে কোন প্রকার ভেজাল নেই।
Reviews
There are no reviews yet.